ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপি যদি রাস্ট্র ক্ষমতায় যায় তাহলে আমরা এই পুলিশকে বিএনপির পুলিশ বানাবো না: জি কে গউছ ময়নুল ইসলাম খানের মমতাময়ী মায়ের মৃত্যুেতে মনুকূলের কাগজ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত বিএনপি পেছন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ায় বিশ্বাস করে না: বড়লেখায় ডা: জাহিদ চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার, গ্রেফতার – ১ কুলাউড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভিডিও বার্তা দিয়ে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা সত্যে রাগিনী তুমি-মোস্তাক চৌধুরী অরণ্য ফাউন্ডেশন”-এর উদ্যোগে কাঙ্গালী ভোজ বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির দোয়া ও মিলাদ মাহফিল জিপিএ ৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উপহার সামগ্রী বিতরণ
নিউইয়র্কে নিহত মৌলভীবাজারের দিদারুল পেলেন মরণোত্তর পদোন্নতি 

নিউইয়র্কে নিহত মৌলভীবাজারের দিদারুল পেলেন মরণোত্তর পদোন্নতি 

উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশি দিদারুল ইসলাম যখন যুক্তরাষ্ট্রে যখন পাড়ি জমিয়েছিলন মৌলভীবাজারের কুলউড়ার সন্তান দিদারুল, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর।

সেখানে পুলিশ ক্যারিয়ার শুরু করেন একজন স্কুল সেফটি এজেন্ট হিসেবে। পরে নিয়মিত পেট্রল অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু গত ২৮ জুলাই ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনি যখন নিহত হন, তখন তিনি ছিলেন এনওয়াইপিডি অফিসার।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জানাজা শেষে দিদারুলকে দাফন করা হয় নিউ জার্সির টটোয়ার একটি বেসরকারি কবরস্থানে। এর আগে ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় অংশ নেন এনওয়াইপিডির কমিশনার জেসিকা টিশসহ বহু কর্মকর্তা, সহকর্মী, স্বজন ও প্রবাসী বাংলাদেশি।

জানাজার আগে এনওয়াইপিডির পক্ষ থেকে দিদারুলকে মরণোত্তর পদোন্নতি দিয়ে ‘ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেড’ পদে উন্নীত করা হয়।

এনওয়াইপিডির এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, নগর রক্ষায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে গেছেন দিদারুল ইসলাম। তার এই আত্মত্যাগ ও সেবা স্মরণে তাকে ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেডে পদোন্নতি দিয়েছেন কমিশনার জেসিকা টিশ।

এ সময় জেসিকা টিশ বলেন, দিদারুল ছিলেন এক সত্যিকারের নায়ক। তিনি নায়কোচিতভাবেই আমাদের ছেড়ে গেছেন। শুধু নিউইয়র্ক নয়, তাকে নিয়ে বাংলাদেশও গর্ব করতে পারে। গর্ব করতে পারেন বৃহত্তর সিলেটবাসীও।

জানা গেছে, দিদারুল ইসলাম প্রায় চার বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তার পরিবারে মা–বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছেন। তাঁর স্ত্রী এখন সন্তানসম্ভবা। ব্রঙ্কস বরোর পার্চেস্টার এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। আর তাঁর কর্মস্থল ছিল ব্রংসের ৪৭ প্রিসেন্ট।

এদিকে জানা গেছে, হামলায় দিদারুল ইসলামের নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর বাবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

দিদারুল ইসলামই ছিলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার পিতা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তার মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © Dailymonukulerkagoj.Com
Design & Developed BY Gausul Azam IT