ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপি যদি রাস্ট্র ক্ষমতায় যায় তাহলে আমরা এই পুলিশকে বিএনপির পুলিশ বানাবো না: জি কে গউছ ময়নুল ইসলাম খানের মমতাময়ী মায়ের মৃত্যুেতে মনুকূলের কাগজ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত বিএনপি পেছন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ায় বিশ্বাস করে না: বড়লেখায় ডা: জাহিদ চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার, গ্রেফতার – ১ কুলাউড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভিডিও বার্তা দিয়ে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা সত্যে রাগিনী তুমি-মোস্তাক চৌধুরী অরণ্য ফাউন্ডেশন”-এর উদ্যোগে কাঙ্গালী ভোজ বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির দোয়া ও মিলাদ মাহফিল জিপিএ ৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উপহার সামগ্রী বিতরণ
হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের শেকড় কি অনেক গভীরে

হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের শেকড় কি অনেক গভীরে

মনুকূলের কাগজ রিপোর্টঃ হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের শেকড় কি অনেক গভীরে। লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ লুটপাট ছাত্রী শিক্ষক অভিভাবকদের মানববন্ধন। জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপিসহ নানা কর্মসূচী পালন করা হয় তার অপসারনের দাবীতে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের অপসারনের দাবী টপ দা টাউনে পরিনত হওয়ার পরও টনক নড়েনী প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের। এ নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কিন্তুু বীরদর্পে সাঁতার কেটে যাচ্ছেন লুটপাটকারী প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগম।

হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবীতে বিদ্যালয়ের ছাত্রী অভিভাবক শিক্ষক শিক্ষিকার মানববন্ধনের পরেই রাশেদা বেগমের দুর্নীতির খতিয়ান চলে আসে মিডিয়ায় ও মৌলভীবাজার জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের হাতে। শুরু হয় রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে লেখা লেখি সোসাল মিডিয়ায় রাশেদা বেগম দুর্নীতি লুটপাটের খতিয়ান ভাইরাল হয়ে যায় কিন্তুু রাশেদা বেগম তখন নিজ দায়িত্বে স্কুল থেকে তার সম্মান নিয়ে চলে যাবে বলে অনেকের ধারনা ছিল। তা মিথ্যা প্রমানিত করে দেন প্রধান শিক্ষিকা। তিনি নাছোড়বান্দার মতো একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন তবুও হাল ছাড়েনি।

মৌলভীবাজার সচেতন নাগরিকের কথা এতো এতো দুর্নীতি লুটপাট করেও কিভাবে রাশেদা বেগম বহাল তবিয়তে রয়ে গেলেন । ছাত্রী শিক্ষক ও অভিভাবকদের রোষানলে পড়ে আজ দেড় মাস হয় তিনি স্কুলে টানা অনুপস্থিত। কিছুদিন পুর্বে একদিন জেলা শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমানের ডাকা মিটিংয়ে এসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিতে চাইলে কয়েকটি সাক্ষর করার পর শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কত বড় অন্যায়কারী হলে জেলা শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতির পর এরকম একটা অন্যায় করার সাহস হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার পর অভিভাবকদের রোষানলে পড়ে পরদিন জেলা শিক্ষা অফিসার অফিসে খাতা নিয়ে লালকালির সাক্ষর দিয়ে সাক্ষরগুলো বাতিল করেন।

জানা গেছে প্রধান শিক্ষিকার বিদ্যালয়ের ফান্ড লুটপাটের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছিলেন তদন্ত করার জন্য কিন্তুু প্রধান শিক্ষিকা তদন্ত কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে তদন্ত করতে দেননি। তারপর বিদ্যালয়ের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) কারন দর্শানো নোটিশ করেন প্রধান শিক্ষিকাকে। প্রধান শিক্ষিকা এ নোটিশের জবাব না দিয়ে রেগে মেগে জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়য়ের সভাপতিসহ ৭ জনকে বিবাদী করে সহকারী জজ আদালতে মামলা টুকে দেন। গেল ২৫ মে আদালত প্রধান শিক্ষিকার অস্থায়ী নিষেধাঙ্গা চেয়ে করা আবেদন না মঞ্জুর করে দেন। মৌলভীবাজারের সচেতন নাগরিকের ধারনা ছিল এ না মঞ্জুরের পর প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থÍা নেবেন কিন্তুু তার কোর্টের আবেদন না মঞ্জুর হবার ৭ দিন অতিবাহিত হবার পর ও তার বিরোদ্ধে কোন ব্যবস্থÍা না নেওয়ায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্রী সচেতন নাগরিক হতাশ।

বিগত দুই মাসের উপড়ে হয়ে গেছে প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবীতে ফুসে উঠেছে মৌলভীবাজারবাসী এতে করে নানা প্রতিকূলতায় পড়েছে স্কুলটি। ছাত্রীদের লেখাপড়া একেবারে লাটে উটে বসেছে। বিদ্যালয়ে ঠিকমত ক্লাস হচ্ছে না। সামনে এস এস সি পরীক্ষার্থীদের প্রিটেস্ট পরীক্ষা তারপর তারা এস এস সি পরীক্ষা দেবে। এখন স্কুলের লুটপাটকারী প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারণ করে স্কুলটিকে ঘুরে দাঁড় না করানো হলে স্কুলটি ধংসের দ্বারপ্রান্তে উপনিত হবে বলে অভিজ্ঞমহলের ধারনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © Dailymonukulerkagoj.Com
Design & Developed BY Gausul Azam IT