মোস্তাক চৌধুরীঃ বিশিষ্ট রাজনৈতিক, সমাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কমিউনিটি লিডার ‘৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ছাত্রগণ-আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম পুরোধা, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অগ্রদ্রুত, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কুইবেক কানাডার সাধারণ সম্পাদক, অসংখ্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগঠক। সৎ, সাহসী, কর্তব্যপরায়ণ ও মানবতাবাদী কাফেলার অগ্রসর সৈনিক, রাজনগরের অবহেলিত বঞ্চিত মানুষের প্রিয় মুখ, রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এম,এ,মান্নান আগামীতে রাজনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চান। রাজনগরের সচেতন নাগরিক সমাজও তাঁকে রাজনগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান।
এম, এ মান্নান একজন উচ্চশিক্ষিত সদালাপী পরোপকারী লোক। ছাত্রজীবন থেকে আজ অবধি রাজনগরের গরীব অসহায় দীন দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে। তিনি একজন মানবিক মানুষ। মানবতার তরে উৎসর্গ করেছেন জীবনের অনেকটা সময়, অনেকটা বছর। মানবতার টানে তিনি দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন রাজনগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য । কাজ করেছেন এ জনপদের সমাজ সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য । কাজ করেছেন রাজনগরের চা শ্রমিকের দিন বদলের জন্য। চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষায় তাঁর অবদান অতুলনীয়।
সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শ বুকে ধারণ করে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী উন্নয়নের রূপকার এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা মরহুম রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে বুকে লালন করে সন্ত্রাস দুর্নীতি লুটপাট শোষণমুক্ত চাঁদাবাজমুক্ত অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূর্য সৈনিক গনমানুষের প্রাণপুরুষ তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে দেশে বিদেশে কাজ করে যাচ্ছি। সেই কর্ম অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, অবহেলিত বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনপদ রাজনগর উপজেলাকে উন্নয়নের শেখরে নিয়ে যেতে জাতীয়তাবাদী দলের বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন দলীয় গ্রুপিং লবিং এর উর্ধ্বে উঠে দলের জন্য কাজ করতে হবে। দলকে শৃঙ্খলিত একটি কাফেলা হিসাবে গড়ে তোলতে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে রাজনগরের গ্রামে গঞ্জে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের কর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ করে তাঁর উন্নয়নকে তরান্বিত করতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির কান্ডারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাতীয় কমিটির সদস্য এম, নাসের রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সফল করতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
দীর্ঘ দিন থেকে তিনি প্রবাসে থাকলেও শেকড়ের টানে বার বার দেশে এসে রাজনগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করেছেন। তিনি বিদেশে বসবাস করেও থেমে থাকেনি। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে আমরা তাকে কাজ করতে দেখেছি সুদুর কানাডা থেকে। তিনি কানাডা বসবাস করলেও তার মন পড়ে থাকে অবহেলিত বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনপদ রাজনগরে। তিনি ছাত্রজীবনে রাজনগরের মুন্সিবাজারে গড়ে তোলেন শত তারা যুব সমিতি মুন্সিবাজার। সেই সমিতির মাধ্যমেই তাঁর সামাজিক ও সেবা মূলক কাজ করা শুরু আজও তা অব্যাহত রেখেছেন।
এ সমিতি’র মাধ্যমে তিনি কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে দায়মুক্ত করা। গরীব অসহায় দীন দরিদ্র মানুষের ঘরের চালে টিন তোলে দেওয়া, গরীব অসহায় মানুষকে পুঁজি দিয়ে হাস মুরগির খামার করে দেওয়া, বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ঈদ পুঁজায় সাহায্য সহযোগিতা করা। রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এ সকল কাজ তিনি শততারা যুব সমিতির মাধ্যমে করে যাচ্ছেন ছাত্রজীবন থেকে আজ অবধি। তিনি সমিতির প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এম,এ মান্নান ২০০০ সালে দেশে এসে গোটা রাজনগর উপজেলা নিয়ে কাজ করতে গড়ে তোলেন রাজনগর গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা (রাগ্রাউস) এ সংগঠনের তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এ সংগঠন রাজনগরের উপজেলা ব্যাপী প্রতিষ্ঠার পর থেকে সামাজিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। বিগত বন্যায় সুনামগঞ্জের মানুষ যখন দিশেহারা তখন এ সংগঠন ত্রানসামগ্রী নিয়ে সুনামগঞ্জের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এছাড়া রাজনগর উপজেলার বন্যাদুর্গত উত্তর ভাগ ও কামারচাক ইউনিয়নের মানুষের পাশে ছিলো তাঁর সংগঠন দিন রাত। এছাড়া রাজনগর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় প্রায় বিশটি পরিবারকে এ সংগঠনের মাধ্যমে যাদের ভিটে আছে জমি নেই তাদের টিনসেড অর্ধপাকা ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। এ ঘর তৈরির হিংসভাগ টাকা এম এ মান্নান দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এম,এ মান্নান প্রবাস যাবার পর থেকে তার রোজগার করা টাকার এক তৃতীয়াংশ টাকা তিনি গরীব অসহায় মানুষের জন্য ব্যয় করেন। তিনি অনেক দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহন করেছেন। বয়স্ক, শিশুসহ অনেকেই তাঁর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। এ রকম মানবিক মানুষ, মানবতার ফেরিওয়ালা এ সমাজ ব্যবস্হায় কমই আছেন। এ রকম মানবিক মানুষ যদি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাহলে সমাজ দেশ উপকৃত হবে। মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে।
এম,এ মান্নার ছাত্র জীবনে প্রগতীশীল ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে থাকাকালীন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্র ইউনিয়ন এর সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ৮৯ সালে তিনি সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে যোগ দেন। ৯০ দশকে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। তারপর তিনি বিএ (এল এল বি) পাস করে পরিবারের তাগিদে ১৯৯৫ সালে কানাডা চলে যান। তিনি বিগত ২৪ বছর যাবৎ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) কুইবেক প্রাদেশিক শাখা কানাডার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১/১১ থেকে নর্থ আমেরিকায় আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
এছাড়া কানাডায় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ। সেখানে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে অতোপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি মৌলভীবাজার জেলা সমিতি কুইবেক কানাডার সভাপতি, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অফ কুইবেক কানাডার সাধারণ সম্পাদক, উসমানী স্মৃতি পরিষদ কানাডা, সাধারণ সম্পাদক, বাংলা স্কুল মন্ট্রিয়াল এর সাধারণ সম্পাদক এছাড়া শাহ জালাল ইসলামী সেন্টার মন্ট্রিয়াল, রাজনগর সংসদীয় আসন, হাওর কাউয়াদিঘী রক্ষা আন্দোলনসহ অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত হয়ে রাজনগরের পিছিয়ে পড়া জনপদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এম,এ মান্নানের পিতা মরহুম আলফি মিয়া একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ও একটি রাজনৈতিক দলের সংগঠক ছিলেন। তিনি মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদের তিন তিনবারের মেম্বার ছিলেন। জনাব মরহুম আলফি চাচা সদা হাস্যোজ্জল একজন বড় মনের মানুষ ছিলেন। তিনি মুন্সিবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । নানা কারণে পরবর্তীতে তিনি সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে রাজনগরের উন্নয়নে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে মুন্সিবাজার ইউনিয়ন বিএনপিকে একক সংগঠনে প্রতিষ্ঠা করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি রাজনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
মরহুম আলফি মিয়া একজন শিক্ষানুরাগী দানশীল মহানুভব মানুষ ছিলেন। প্রাচীন বিদ্যাপীঠ খলাগাঁও করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সদস্য, মুন্সিবাজার জামে মসজিদ কমিটির দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সর্বক্ষণ জড়িত থাকতেন। তিনি মুন্সিবাজার ইউনিয়নের একজন ন্যায় বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন নিষ্ঠার সাথে। একজন পরহেজগার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি ইমানদার ব্যক্তি হিসেবে এলাকা জুড়ে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। রাজনগর যখন সরকারিভাবে ইউনিয়ন উপ স্বাস্হ্য কেন্দ্র স্হাপনের জন্য জায়গা চাওয়া হয় মুন্সিবাজারের আশপাশে। তখন কেউ এতো দামি জায়গা দিতে চাননি। তখন আলফি মিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে ভূমি দান করতে রাজি হন এবং তিনি একাই হাসপাতালের ভূমি দান করেন যা আজ মুন্সিবাজার ইউনিয়নবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ ভূমির মুল্য দুই কোটি টাকার উপরে হবে।
তাঁর মেঝ ছেলে হেলালুর রহমান লাল যুবদলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতির সাথে যুক্ত। তিনি ৯০ দশকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজনগরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। লাল ভাই দীর্ঘদিন মুন্সিবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল এম সাইফুর রহমান অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর সাথে মন্ত্রির সখ্যতা ছিল। কিন্তুু লাল মিয়া নিষ্ঠা আর সততার সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। দলকে তার সাফল্য লক্ষে পৌঁছাতে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। হাটে ঘাটে মাঠে দলের সুদিনে দুর্দিনে দলের কার্যক্রমে লেগেই থাকতেন। দলকে সংগঠিত করতে তাঁর অবদান কম নয়। হেলালুর রহমান লালের স্ত্রী ডলি বেগম রাজনগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলে রাজনগরবাসী আলফি মিয়ার কথা ভেবে বিপুল ভোটে তাঁকে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। বিএনপির দুর্দিনে রাজনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বলতে গেলে মরহুম জননেতা বষিয়ান রাজনীতিবিধ মরহুম আলফি মিয়ার পরিবার উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যেবাহী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক পরিবার।
মরহুম আলফি মিয়া ৬ ছেলে ও ৫ মেয়ের বিশাল সংসার থাকলেও তাঁর ছেলে মেয়ে বেশির ভাগ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। বলতে গেলে এক শিক্ষিত পরিবার। তাঁর ছেলে মেয়ে সবাই যার যার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। তাঁর ছেলে মেয়েরা হলেন আক্তার হোসেন আলতা, হেলালুর রহমান লাল, আব্দুল মান্নান, আব্দুর রহমান, ছুরতূন নাহার, জয়তুন নাহার, সাইফুল ইসলাম সুলেমান,ছালাতুন নাহার রুমি, আলাতুল নাহার সুমি, মুহিবুর রহমান রাসেল ও সালমাতুন নাহার রুজি। এম এ মান্নান আলফি চাচার সেঝো ছেলে। তিনি স্থায়ী ভাবে কানাডায় বসবাস করছেন। সৎ কর্তব্যপরায়ন দির্ঘদিন সামাজিক কর্মে নিবেদিত এম এ মান্নান আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান। শেকড়ের টানে রাজনগরের মানুষের সুখে-দুঃখে, বিপদে পথ চলতে চান, পাশে থাকতে চান। তাই রাজনগরবাসীর দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতার প্রত্যাশী। সকলের সেবা করার সুযোগ চান।
Leave a Reply