ররিবার দুপুরে স্থানীয় মক্তদির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন, গনতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে। এই পুলিশ আজকে রাস্ট্রের পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। অথচ এক বছর আগের কথা একবার চিন্তা করুন এই পুলিশ সাক্ষাৎ জমের ভুমিকায় ছিল। কিভাবে বিএনপির মিছিলে নির্বিচারে গুলি করেছে। টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। ব্যানার কেড়ে নিয়েছে। এটা কোন দিন ভুলে যাওয়া যাবে না। পুলিশ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা পুলিশকে রাস্ট্রের পুলিশ হিসেবে দেখতে চাই। আগামীতে যদি বিএনপি রাস্ট্র ক্ষমতায় যায় তাহলে বিএনপির পুলিশ আমরা এই পুলিশ কে বানাবো না। পুলিশ জনগণের বন্ধু,জনগণের সেবক। পুলিশ একটি দলের কর্মী হতে পারে না।
গউছ বলেন, শেখ হাসিনা যখন এক কাপড়ে পালিয়ে যায় তার আগেই অনেক থানা থেকে হাসিনার পুলিশ হাসিনাকে রেখে পালিয়ে গেছে। খেয়াল রাখবেন, এগুলো ইতিহাস।তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশের মানুষ যখনই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছে, কোনো ষড়যন্ত্র চক্রান্ত বিএনপি কে দমিয়ে রাখতে পারে নাই। বিএনপি ধৈর্য ধরছে,এটা দুর্বলতা নয়। মুরব্বিদের প্রতিশ্রদ্ধাশীল না থাকলে, দেশের প্রতি ভালবাসা না থাকলে এর রেজাল্ট ভালো হয় না। আওয়ামী লীগ পালিয়ে গিয়েছে,কিন্তু সব আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়নি। ওরা খোলস পাল্টিয়েছে। ওরা নিজেরা বাঁচার জন্য এখন একটু থেমে আগাচ্ছে। এদের দিকে আমাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
জুড়ী উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ডা: মোস্তাকিম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এম পি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান,জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এড. আবেদ রাজা,জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি নাসির উদ্দীন মিঠু,আলহাজ আব্দুল মুকিত। এদিকে দীর্ঘদিন পর জুড়ী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে সম্মেলন ও কাউন্সিলে যোগ দেয়।
Leave a Reply