খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম রতন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মাগুরা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম মো: আব্দুর রব ও মাতার নাম মিনারা বেগম। রতনের দুই বোন রয়েছেন। তাদের নাম নাঈমা ও নাদিমা। রতন প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তাঁর স্ত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা। ব্রঙ্কস বরোর পার্চেস্টার এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। আর তাঁর কর্মস্থল ছিল ব্রঙ্কসের ৪৭ প্রিসন্ক্ট। ২৮ জুলাই সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে দিদারুল ইসলামের মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়। হামলায় রতন নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর বাবা আব্দুর রব হৃদরাগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রতনের গ্রামের বাড়ি বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিক্ষারমহল গ্রামে। তার বাবা আব্দুর রব একসময় মধ্যপ্রাচ্যর দেশ কুয়েত ছিলেন। প্রায় দুই যুগ আগে বড়লেখা থেকে কুলাউড়া পৌরসভার মাগুরা এলাকায় বাসা নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। বর্তমানে ওই বাসায় ভাড়াটে লোকজন বসবাস করছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে রতনের মামার আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে আমেরিকায় পাড়ি জমায় রতন। সেখানে গিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে নিউইয়র্ক পুলিশে যোগ দেয়। দেশে থাকাবস্থায় রতন কুলাউড়া নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার ২৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিডটাউন ম্যানহাটনের ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউ এবং ইস্ট ৫২তম স্ট্রিটে অবস্থিত একটি ভবনে এই গুলির ঘটনা ঘটে। ৩৪৫ পার্ক এভিনিউয়ের আকাশচুম্বী এই ভবনটিতে কেপিএমজি এবং ডয়চে ব্যাংকসহ আরো বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া ভবনটিতে ব্ল্যাকস্টোন এবং আয়ারল্যান্ডের কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসও রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত দিদারুল ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন। তিনি একজন ‘বীর’ হিসেবে মারা গেছেন বলে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানিয়েছেন।
Leave a Reply