জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন চালু হচ্ছে বাংলাদেশে! তার মানে আমরা ফিলিস্তিন, সিরিয়া, সুদান বা তিউনিসিয়ার মতো হয়ে গেছি? ড. ইউনূসকে এই চুক্তি করার দায়িত্ব কি জনগণ দিয়েছে?
ফিলিস্তিনে প্রতিদিন কত নিষ্পাপ প্রাণ বলি হচ্ছে অথচ এই কমিশন সেখানে কী করছে?
সিরিয়া, সুদান বা তিউনিসিয়া প্রভৃতি দেশে গৃহযুদ্ধ চলমান। যেখানেই জাতিসংঘের প্রযত্নে আমেরিকার এই কমিশন চালু হয়েছে সেখানেই গৃহযুদ্ধ বেঁধেছে।
সব জায়গায়ই আমেরিকা দুরভিসন্ধি করে একটা পাপেট সরকার বসায় আর তাদের নিজেদের ফায়দা হাসিল করে।
মুহাম্মদ ইউনূস যে তাদের বানানো পাপেট বা পুতুল সেটা এখনও যদি কারো বোঝার বাকি থাকে তাহলে তার সাথে কোনো কথা চলে না।
খেয়াল করে দেখুন, এনসিপি একটা দল এখনও নিবন্ধন পর্যন্ত পায়নি অথচ তাদেরকে যেভাবে সরকার প্রটোকল দিচ্ছে তাতেই তো থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ে।
সেদিন গোপালগঞ্জের মানুষ তাদেরকে প্রতিরোধ করেছে। আগামীতে সারা দেশ তাদের প্রতিরোধ করলে অবাক হবো না। তারা জনগণের বন্ধু হলে এতো সাজোয়া যানসমেত প্রটেকশন কেন লাগে? তাদের নিরাপত্তা দিতে কেন মানুষ মারা হয়? মোট কথা হচ্ছে, এদের উদ্দেশ্য আমেরিকার মিশন বাস্তবায়ন।
“এটাও ইতিহাসের শিক্ষা, যে কেউই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না।” নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর এই বাংলা দিয়েই ব্রিটিশ বেনিয়ারা প্রবেশ করেছিল। তারপর দু শ বছরের ইংরেজ শাসন তো সবারই জানা। আর শেখ হাসিনার পতনের পর আমেরিকা এই বাংলা দিয়েই তাদের প্রবেশের পথ তৈরি করলো।
আমেরিকা এখন ইউনূসের মাধ্যমে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকে প্রমোট করছে। আর বাংলাদেশের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে পিনাকি-ইলিয়াছ-কনক গংদের। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের উপর এদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু ব্যক্তি বা দলের চেয়ে দেশ ও জাতি বড়ো। তাই দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
যাই হোক একটা সময় দেখবেন আল-কায়দা-আইএস জঙ্গীর কথা বলে আমাদের মাতৃভূমিকে তারা গাজার দশা করে ছাড়বে! ভূ-রাজনীতির যাঁতাকলে নিঃস্ব হয়ে যাবো আমরা! সুতরাং এখনই প্রতিকারের সময়।
Leave a Reply