ঘুরে এলাম সবুজ রঙে মাখামাখি, বৃক্ষ-লতায় ছায়া নিবিড় জনপদে কবি মোস্তফা’র বইঘর
– মহিদুর রহমান
শহর থেকে দূরে নিবিড় এক পল্লী গাঁ। ছায়া সুনিবিড় গ্রামখানিতে সে কি ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ! হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জে অবস্থিত শতবছরের পুরানো গ্রাম। নাম বাগাউড়া। সেই গ্রামে গড়ে ওঠেছে একটি পাঠাগার। যার নাম ‘বইঘর’। গ্রামীণ এই পাঠাগারটিতে ৫ হাজারেরও বেশি বই রয়েছে। আছে পড়ারও সুব্যবস্থা।
বইঘরের প্রতিষ্ঠাতা আমার পূর্ব পরিচিত। তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একজন একনিষ্ঠ অনুরাগী, লালনের ভক্ত, বঙ্গবন্ধুকে বড্ড ভালোবাসেন, আর সুচিত্রা সেন তাঁর প্রিয়।শিকড়ের প্রতি তাঁর টান অবিচ্ছেদ্য। থাকেন যুক্তরাজ্যে কিন্তু তাঁর মন পড়ে থাকে মধুকবির মতো গাঁয়ে।
কবির বইঘর দেখার জন্য অনেকদিন থেকে উদগ্রীব ছিলাম। অবেশেষে এক আষাঢ়ে বিকেলে সাংবাদিক-কবি নূরুল ইসলাম, কবি ইয়াসীন সেলিম ও সংবাদকর্মী জুয়েলসহ আমরা চারজন পাঠাগারটি দেখার জন্য চলে যাই বাগাউড়া গ্রামে। শুনশান পরিবেশ। গরমের মধ্যেও একটা হিম হিম আবেশ! বইঘর যেন গ্রামের ভেতর নীরবে সুবাস ছড়াচ্ছে।
এমন একটা উদ্যোগ নিয়ে যে কবি সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত তিনি কবি মোস্তফা। তাঁর সাহিত্যকর্ম এবং এই বইঘরের জন্য আগামীর মানুষ তাকে মনে রাখবে।
Leave a Reply